সড়ক, নৌ-দুর্ঘটনা, মাতৃস্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের দৈনন্দিন ও বড় বড় সমস্যাসমূহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশেষ করে মোবাইল প্রযুক্তির মাধ্যমে উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে বের করতে সরকারি আয়োজনে দেশের সবচেয়ে বড় এই হ্যাকাথন আগামী শনিবার ঢাকার রাজধানীর কাকরাইলস্থ ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) তে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই সম্মেলনে এক হাজার ৭০০ প্রোগ্রামার, ফ্রিল্যান্সার, শিক্ষার্থী, অ্যাপনির্মাতা ৩৪০টি টিমে বিভক্ত হয়ে অংশ নেবেন। পাশাপাশি ৪৯টি পেশাদার কোম্পানি অংশ নিচ্ছে। পাঁচ সদস্যের কোডার ও ডিজাইনারের সমন্বয়ে একটি টিম গঠিত হয়েছে। বিজয়ীরা ২০ লাখ টাকার ইনোভেশন ফান্ড পাবেন তাদের সমাধানগুলোকে পরিপূর্ণ রূপ দেওয়ার জন্য।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এই সম্মেলনের আয়োজন করছে। এটি বাস্তবায়নে এমসিসি লিমিটেড সহ সহযোগিতায় রয়েছে ইএটিএল, বেসিস, সিম্ফোনি, গ্রামীণফোন, রবি, সোলকোয়েস্ট, গুগল ডেভেলপার গ্রুপ, বেটার স্টোরিজ ও বিডি ভেঞ্চার লিঃ।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী, পেশাদার সফটওয়ার ডেভেলপার, দেশের তুখোড় সব প্রোগ্রামাররা দলগতভাবে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন। ‘জাতীয় পর্যায়ে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন উন্নয়নে সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি কর্মসূচী’-এর আওতায় দেশজুড়ে তৃণমূল পর্যায়ে মোবাইল অ্যাপ বিষয়ক কারিগরি প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরাও থাকবেন এই সম্মেলনে।
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা বিরতিহীনভাবে ৩৬ ঘন্টাব্যাপি কোডিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন সলিউশনের প্রোটোটাইপ (নমুনা সমাধান) তৈরি করবেন। অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন গ্রুপে কাজ করবেন এবং সেটার মনিটরিং এবং তাৎক্ষণিকভাবে সহযোগিতার জন্য বিশেষজ্ঞ দল প্রস্তুত রয়েছেন। সম্মেলনে ৩০ জন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ প্রতিযোগিতার মূল্যায়নের দায়িত্বে থাকবেন।
গতানুগতিক উদ্বোধনি পর্বের বাইরে গিয়ে সম্মেলনের শুরুতেই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ‘ভিশন ২০২১’-এর ওপর একটি কর্মশালা করাবেন। এরপর ডিজাইন স্প্রিন্ট এবং পেপার প্রটোটাইপ ডেভেলপ করবে সবাই। তারপরই শুরু হবে মূল কোডিং পর্ব। এর মাঝে নানা ধরনের টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হবে। পরদিন বিকেল ৪টায় সমাপনী পর্বে চূড়ান্ত পর্বের সমাধান প্রদর্শনী ও বিজয়ীদের নির্বাচন করা হবে।
বিজয়ী ১০ জন পাবেন আকর্ষণীয় পুরস্কার। তাদের প্রকল্পগুলো পূর্ণাঙ্গ রূপ দেয়ার জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ সহযোগিতা করবে। এজন্য সেরা সমাধানদাতারা পাবেন ২০ লাখ টাকার ইনোভেশন ফান্ড। এছাড়া বিডি ভেঞ্চারের সৌজন্যে আর্থিক সহায়তা পাবেন। এছাড়া মাইক্রোসফট মোবাইল, সিম্ফোনি, রবি এবং গ্রামীণফেনের পক্ষ থেকেও নানা পুরস্কারের ব্যবস্থা থাকছে। বেটার স্টোরিজ লিমিটেড এক বছরের জন্য বাজারজাত সহায়তা প্রদান করবেন।
প্রসঙ্গত: বিশ্বজুড়ে হ্যাকাথন ম্যারাথন কোডিং ইভেন্ট হিসেবে স্বীকৃত। হ্যাকাথনে ডেভেলপারদের দক্ষতার চূড়ান্ত প্রদর্শনী হয়। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন এই ওয়েবসাইটে।