তৈরী হলো দুই হাজারের অধিক এন্ড্রয়েড এ্যাপ্লিকেশন ডেভলপার

By Mahadi Hasan

netrokona
জাতীয় পর্যায়ে মোবাইল এ্যাপ্লিকেশন উন্নয়নে সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি কর্মসূচীর আওতায় সনদপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ২০০০ অতিক্রম করেছে। ২০০০ প্রশিক্ষিত এ্যান্ড্রয়েড ডেভলপার তৈরির উদ্দেশ্যে দেশের বিভিন্ন জেলায় এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ৪৯ টি প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মাধ্যমে এই সকল ছাত্রছাত্রীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।

পাঁচদিনব্যাপী এই কর্মশালাগুলোতে এপর্যন্ত সারাদেশের সরকারি-বেসরকারি প্রায় ১০৩ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। এরা প্রত্যেকেই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছেন। পাঁচ দিনব্যাপী এই কর্মশালাগুলোতে ছাত্র ছাত্রীদেরকে এন্ড্রয়েড এ্যাপ্লিকেশনের উপর বিস্তারিত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। অনুষ্ঠিত ব্যবহারিক ক্লাসে অংশগ্রহণকারী প্রশিক্ষণার্থীরা এ পর্যন্ত ১৪৮১ টি প্রাথমিক পর্যায়ের এ্যাপ্লিকেশনও তৈরী করেছেন। প্রশিক্ষণ শেষে সফল প্রশিক্ষণার্থীকে সনদপত্র প্রদান করা হয়েছে, যা তারা ভবিষ্যৎ কর্মক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবেন। এই সকল প্রশিক্ষণার্থীরা জাতীয় পর্যায়ে মোবাইল এ্যাপ্লিকেশন নির্মাণ প্রতিযোগিতায়ও অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণগুলোতে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি থেকে ২৫ জন, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটির প্রথম প্রশিক্ষণে ২৬ জন এবং দ্বিতীয় প্রশিক্ষণে ৪৬ জন, নর্থ সাউথ ইউনির্ভাসিটিতে ৪২ জন, ইউনির্ভাসিটি অব লিবারেল আর্টসে ৩৭ জন, এশিয়া প্যাসিফিক ইউনির্ভাসিটিতে ৩৩ জন, ব্রাক ইউনির্ভাসিটিতে ৩২ জন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮৮ জন, যশোরে ৩৯ জন, খুলনায় ৪৮ জন, কুষ্টিয়া জেলায় ৩৯ জন, রাজশাহী জেলায় ৪১ জন, চট্টগ্রামে ৩৫ জন, চুয়াডাঙ্গাতে ৩১ জন, টাঙ্গাইলে ৪৭ জন, কিশোরগঞ্জে ৩৮ জন, দিনাজপুরে ৬২ জন, সিরাজগঞ্জে ২৪ জন, পটুয়াখালীতে ৫১ জন, কক্সবাজারে ৪২ জন, শরিয়তপুরে ২৫ জন, কুড়িগ্রামে ৪২ জন, ব্রাক্ষণবাড়িয়াতে ৪৩ জন, রাঙামাটিতে ৫৭ জন, সাতক্ষীরাতে ২৯ জন, নওগাঁতে ২১, বাগেরহাটে ১৫ জন, জয়পুরহাটে ৬৫ জন, লক্ষীপুর ২২ জন, ঝিনাইদাহে ৪০ জন, পাবনাতে ৪৮ জন, ঠাকুরগায়ে ৩২ জন, মানিকগঞ্জে ৩০ জন, কুমিল্লায় ৩০ জন, ময়মনসিংহে ৩৩ জন, ফেনীতে ৫৯ জন, সিলেটে ৩৫ জন, বগুড়ায় ৪২ জন, রংপুরে ৪৭ জন, নোয়াখালীতে ৬৭ জন, গাজীপুরে ৪০ জন, চাঁপাই নবাবগঞ্জে ৪০ জন এবং নারায়ণগঞ্জে ৩২ জন, বরিশালে ৮৪ জন, পিরোজপুরে ৩০ জন, মাগুরায় ৬৩ জন, নরসিংদীতে ৪৫ জন এবং নেত্রকোনায় ৩৫ জন সহ সর্বমোট ২০২৯ জন সফল প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে সনদপত্র গ্রহণ করেন। এছাড়া এই মুহুর্তে রাজবাড়ী জেলায় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলছে।
এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমগুলোর পরিচলানা করেছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা এমসিসি লি.।

অন্যান্য জেলার ছাত্রছাত্রীদের জন্য এখনো নিবন্ধন কার্যক্রম চালু আছে। জাভা ল্যাংগুয়েজ জানা শিক্ষার্থীরা এই ওয়েব সাইটে প্রবেশ করে নিবন্ধন ও স্কিল টেস্ট প্রদানের মাধ্যমে নির্বাচিত হলে প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

পুরো প্রকল্পে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে এমসিসি লি. ও ইএটিএলের সাথে কাজ করছে বেসিস, মাইক্রোসফট, গ্রামীণফোন, রবি, নোকিয়া, সিম্ফনি, এসওএল কোয়েস্ট, গুগল ডেভলাপার গ্রুপ ও সেন্টার ফর ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট ঢাকা।

1 Comment

Leave a Reply