জাতীয় পর্যায়ে মোবাইল এ্যাপ্লিকেশন উন্নয়নে সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি কর্মসূচীর আওতায় এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ৩১টি প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে সনদপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১০০০ অতিক্রম করেছে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণ শেষ হবার সাথে সাথে এই হাজারের মাইল ফলক ছোঁয়া সম্ভব হয়।
পাঁচদিনব্যাপী এই কর্মশালাগুলোতে এপর্যন্ত সারাদেশের সরকারি-বেসরকারি প্রায় ১০৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। এরা প্রত্যেকেই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছেন। পাঁচ দিনব্যাপী এই কর্মশালাগুলোতে ছাত্র ছাত্রীদেরকে এন্ড্রয়েড এ্যাপ্লিকেশনের উপর বিস্তারিত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। অনুষ্ঠিত ব্যবহারিক ক্লাসে অংশগ্রহণকারী প্রশিক্ষণার্থীরা এ পর্যন্ত ৮৬৬টি প্রাথমিক পর্যায়ের এ্যাপ্লিকেশনও তৈরী করেছেন। প্রশিক্ষণ শেষে সফল প্রশিক্ষণার্থীকে সনদপত্র প্রদান করা হয়েছে, যা তারা ভবিষ্যৎ কর্মক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবেন। এই সকল প্রশিক্ষণার্থী জাতীয় পর্যায়ের এ্যাপ্লিকেশন নির্মাণ প্রতিযোগিতায়ও অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
২০০০ প্রশিক্ষিত এ্যান্ডয়েড ডেভলপার তৈরির উদ্দেশ্যে গত ২১ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে শুরু হয়ে এ পর্যন্ত ২৩টি জেলাতে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা জেলায় নিবন্ধনকৃত সর্বাধিক পরিমাণ ছাত্রছাত্রী নির্বাচিত হওয়ায় ঢাকাতে সর্বমোট ৮ টি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণগুলোতে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি থেকে ২৫জন, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটির প্রথম প্রশিক্ষণে ২৬জন এবং দ্বিতীয় প্রশিক্ষণে ৪৬জন, নর্থ সাউথ ইউনির্ভাসিটিতে ৪২জন, ইউনির্ভাসিটি অব লিবারেল আর্টসে ৩৭জন, এশিয়া প্যাসিফিক ইউনির্ভাসিটিতে ৩৩জন, ব্রাক ইউনির্ভাসিটিতে ৩২ জন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮৮ জন, যশোরে ৩৯জন, খুলনায় ৪৮জন, কুষ্টিয়া জেলায় ৩৯জন, রাজশাহী জেলায় ৪১জন, চট্টগ্রামে ৩৫জন, চুয়াডাঙ্গাতে ৩১ জন, টাঙ্গাইলে ৪৭জন, কিশোরগঞ্জে ৩৮জন, দিনাজপুরে ৬২জন, সিরাজগঞ্জে ২৪জন, পটুয়াখালীতে ৫১জন, কক্সবাজারে ৪২জন, শরিয়তপুরে ২৫জন, কুড়িগ্রামে ৪২জন, ব্রাক্ষণবাড়িয়াতে ৪৩জন, রাঙামাটিতে ৫৭জন, সাতক্ষীরাতে ২৯জন, নওগাঁতে ২১, বাগেরহাটে ১৫জন, জয়পুরহাটে ৬৫জন,লক্ষীপুরে ২২জন, ঝিনাইদাহে ৪০জন, পাবনাতে ৪৮জনসহ সর্বমোট ১২৩৯জন সফল প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে সনদপত্র গ্রহণ করেন।
এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমগুলোর মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা এমসিসি লি. ২৭টি এবং ইএটিএল ৪টি প্রশিক্ষণ পরিচালনা করে। অন্যান্য জেলার ছাত্রছাত্রীদের জন্য এখনো নিবন্ধন কার্যক্রম চালু আছে। জাভা ল্যাংগুয়েজ জানা শিক্ষার্থীরা এই ওয়েব সাইটে প্রবেশ করে নিবন্ধন ও স্কিল টেস্ট প্রদানের মাধ্যমে নির্বাচিত হলে প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
পুরো প্রকল্পে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে এমসিসি লি. ও ইএটিএলের সাথে কাজ করছে বেসিস, মাইক্রোসফট, গ্রামীণফোন, রবি, নোকিয়া, সিম্ফনি, এসওএল কোয়েস্ট, গুগল ডেভলাপার গ্রুপ ও সেন্টার ফর ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট ঢাকা।