জাতীয় পর্যায়ে মোবাইল এ্যাপ্লিকেশন উন্নয়নে সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি কর্মসূচীর আওতায় আজ সকাল ১০ টা থেকে লক্ষীপুর, পাবনা, জয়পুরহাট ও ঝিনাইদহ জেলায় শুরু হয়েছে পাঁচদিন ব্যাপী মোবাইল এ্যাপ্লিকেশন উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কোর্স। লক্ষীপুর জেলায় ৩৭, পাবনা জেলায় ৫০, জয়পুরহাট জেলায় ৪৮ এবং ঝিনাইদহ জেলায় ৬৪ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই ওয়েব সাইটে নিবন্ধন ও স্কিল টেস্ট প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এই কোর্সের জন্য নির্বাচিত হন। তারা পাঁচ দিনে এন্ড্রয়েড এ্যাপ্লিকেশনের উপর বিস্তারিত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন এবং ব্যবহারিক কাজ হিসাবে এ্যাপ্লিকেশন তৈরি করবেন। কর্মশালা শেষে সফল প্রশিক্ষনার্থীকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে, যা তারা ভবিষ্যৎ কর্মক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবেন। এই সকল প্রশিক্ষণার্থী জাতীয় পর্যায়ে এ্যাপ্লিকেশন নির্মাণ প্রতিযোগিতায়ও অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
প্রথম দিনের প্রশিক্ষণের শুরুতে লক্ষীপুর জেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লক্ষীপুর জেলার এডিসি (সার্বিক) জনাব মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন। আরো ছিলেন লক্ষীপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট -এর প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার আলাউদ্দিন, লক্ষীপুর জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সহকারী প্রোগ্রামার জনাব মো. মাকসুদুর রহমান প্রমুখ। পাবনা জেলার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জনাব ড. ফারুক আহাম্মদ। অনুষ্ঠানে আরো ছিলেন সহকারী কমিশনার (শিক্ষা ও আইসিটি) জনাব মাহফুজুল আলম মাসুম, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান জনাব মো. শফিউল আজম ও নিউজেন টেকনোলজির পরিচালক মোহাম্মদ আলী আকবর। এদিকে ঝিনাইদহ জেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন ঝিনাইদহ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর সিভিল বিভাগের প্রধান জনাব মো. শরিফুল ইসলাম; ছিলেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান জনাব এ কে এম মাঝহারুল আলম, কম্পিউটার সাইন্স বিভাগের চিফ ইন্সট্রাক্টর জনাব ফাহিমা আকতার প্রমুখ।
এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমটি পরিচালনা করছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা এমসিসি লি.। উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ২৫ টি প্রশিক্ষণ কোর্সে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭৮ জন শিক্ষার্থী সফল ভাবে প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করেছেন। এছাড়া আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ থেকে ঠাকুরগাও, মানিকগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ জেলায় -এ প্রশিক্ষণ শুরু হতে যাচ্ছে। অন্যান্য জেলার ছাত্রছাত্রীদের জন্য এখনো নিবন্ধন কার্যক্রম চালু আছে। জাভা ল্যাংগুয়েজ জানা শিক্ষার্থীরা এই ওয়েব সাইটে প্রবেশ করে নিবন্ধন ও স্কিল টেস্ট প্রদানের মাধ্যমে নির্বাচিত হলে প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
পুরো প্রকল্পে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে এমসিসি লি. ও ইএটিএলের সাথে কাজ করছে বেসিস, মাইক্রোসফট, গ্রামীণফোন, রবি, নোকিয়া, সিম্ফনি, এসওএল কোয়েস্ট, গুগল ডেভলাপার গ্রুপ ও সেন্টার ফর ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট ঢাকা।