জাতীয় পর্যায়ে মোবাইল এ্যাপ্লিকেশন উন্নয়নে সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি কর্মসূচীর আওতায় গতকাল ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০ টা থেকে কুড়িগ্রাম এবং আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে বাগেরহাট, নওগাঁ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সাতক্ষীরায় শুরু হয়েছে পাঁচদিন ব্যাপী মোবাইল এ্যাপ্লিকেশন উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। সর্বমোট ২০৭ জন শিক্ষার্থী নিয়ে উপরোক্ত জেলা গুলোতে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে । এই ওয়েব সাইটে নিবন্ধন ও স্কিল টেস্ট প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীগণ এই কোর্সের জন্য নির্বাচিত হন এবং তারা পাঁচ দিনে এন্ড্রয়েড এ্যাপ্লিকেশনের উপর বিস্তারিত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন এবং এ্যাপ্লিকেশন তৈরি করবেন। কর্মশালা শেষে সফল প্রশিক্ষণার্থীকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে, যা তারা ভবিষ্যৎ কর্মক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবেন। এই সকল প্রশিক্ষণার্থী জাতীয় পর্যায়ে এ্যাপ্লিকেশন নির্মাণ প্রতিযোগিতায়ও অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
কুড়িগ্রামে শুরু হওয়া প্রশিক্ষণের প্রথম দিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলার সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব সামিউল আমিন। এদিকে বাগেরহাটে প্রশিক্ষণের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলার এডিসি (রাজস্ব) জনাব মো.শাহ আলম সরদার, বিশেষ অতিথি জেলার এডিসি (সার্বিক) জনাব মো.হাবিবুল হক খান এবং এডিসি (শিক্ষা ও আইসিটি) জনাব মো.আরিফ নাজমুল হাসান প্রমুখ।ন ওগাঁ জেলার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলার সহকারী কমিশনার (আইসিটি) জনাব রিপন কুমার সাহা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মনবাড়িয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইঞ্জি. প্রদিপ্ত খিশা এবং সাতক্ষিরায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলার জেলা প্রশাসক জনাব নাজমুল আহসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মহসিন আলি, সহকারি কমিশনার (আইসিটি) জনাব মো. মোশারেফ হুসেইন প্রমুখ।
এদিকে গত দিনাজপুর ও সিরাজগঞ্জ এবং কক্সবাজার জেলার প্রশিক্ষণ শেষ হলো গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তারিখে। দিনাজপুর জেলাতে ৬২ জন শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ ২৭ টি এ্যাপ্লিকেশন তৈরী করেন। এবং তাদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন জেলার এডিসি জনাব তৌফিক ইমাম, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি জনাব প্রফেসর মো.রুহুল আমিন প্রমুখ। সিরাজগঞ্জ জেলার জেলায় ২৪ জন সফল প্রশিক্ষণার্থী প্রস্তুত করেন ১৪ টি এ্যাপ্লিকেশন। এরা প্রত্যেকেই সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. বিল্লাল হোসেনের কাছ থেকে সনদপত্র গ্রহণ করেন। এছাড়া কক্সবাজার জেলায় ৪১টি পূর্ণাঙ্গ এ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা সফলভাবে প্রশিক্ষণ শেষ করেছেন ৪২ জন শিক্ষার্থী। এবং প্রশিক্ষনার্থীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জনাব কামাল উদ্দিন আহমেদ, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর সদস্য ও অর্থ পরিচালক জনাব মো আবদুস সবুর প্রমুখ।
এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমগুলো পরিচালনা করছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা এমসিসি লি.। উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ১৭ টি প্রশিক্ষণ কোর্সে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৫২ জন শিক্ষার্থী সফল ভাবে প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করেছেন। প্রশিক্ষণ চলছে পটুয়াখালি এবং শরীয়তপুর জেলায়। এছাড়া আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ থেকে রাঙ্গামাটি জেলায় রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। অন্যান্য জেলার ছাত্রছাত্রীদের জন্য এখনো নিবন্ধন কার্যক্রম চালু আছে। জাভা ল্যাংগুয়েজ জানা শিক্ষার্থীরা এই ওয়েব সাইটে প্রবেশ করে নিবন্ধন ও স্কিল টেস্ট প্রদানের মাধ্যমে নির্বাচিত হলে প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
পুরো প্রকল্পে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে এমসিসি লি. ও ইএটিএলের সাথে কাজ করছে বেসিস, মাইক্রোসফট, গ্রামীণফোন, রবি, নোকিয়া, সিম্ফনি, এসওএল কোয়েস্ট ও গুগল ডেভলাপার গ্রুপ ঢাকা।
1 Comment
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.
It was really a great training. I enjoyed it. Please keep it up.