জাতীয় পর্যায়ে মোবাইল এ্যাপ্লিকেশন উন্নয়নে সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি কর্মসূচীর আওতায় টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা জেলাতে শুরু হলো পাঁচ দিন ব্যাপী মোবাইল এ্যাপ্লিকেশন উন্নয়ন প্রশিক্ষণ। ৪৬ জন শিক্ষার্থী নিয়ে মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে টাঙ্গাইল জেলা, ৪০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে কিশোরগঞ্জ জেলা এবং ৪৯ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ফাস্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটিতে চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই ওয়েব সাইটে নিবন্ধন ও স্কিল টেস্ট প্রদানের মাধ্যমে তিন জেলাতে সর্বমোট ১৩৫ জন শিক্ষার্থী এই কোর্সের জন্য নির্বাচিত হন এবং তারা পাঁচ দিনে এন্ড্রয়েড এ্যাপ্লিকেশনের উপর বিস্তারিত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন এবং ব্যবহারিক কাজ হিসেবে এ্যাপ্লিকেশন প্রস্তুত করবেন। প্রশিক্ষণ শেষে সফল প্রশিক্ষনার্থীকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে, যা তারা ভবিষ্যৎ কর্মক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবেন। এই সকল প্রশিক্ষনার্থী জাতীয় পর্যায়ের এ্যাপ্লিকেশন নির্মাণ প্রতিযোগিতায়ও অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
টাঙ্গাইলে প্রশিক্ষণ শুরুর দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আলাউদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন জনাব মো. আবু বকর সিদ্দিকী। সভাপতি ছিলেন আইসিটি বিভাগের চেয়ারম্যান মুনির মোরশেদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সহযোগী অধ্যাপক জনাব আহসান হাবিব এবং এমসিসি লি. এর উপ পরিচালক এফএম শাহ পারভেজ।
কিশোরগঞ্জে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জনাব মোহাম্মাদ লিয়াকত আলী, ঈশা খা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টের সেক্রেটারি জনাব ড. এ এন এম নওশাদ খান, প্রক্টর এবং ট্রাস্টি রিয়াদ আহমেদ তুষার, নিউজেন টেকনোলজির পরিচালক জনাব মোহাম্মাদ আলী আকবর প্রমুখ। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা জেলাতে উপস্থিত ছিলেন এডিসি জেনারেল আঞ্জুমান আরা, সহকারি কমিশনার (আইসিটি) মুনিবুর রহমান এবং ফাস্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটির সিএসই বিভাগের প্রধান সৈয়দ মোহাম্মাদ ইকবাল প্রমুখ।
এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমগুলো পরিচালনা করছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা এমসিসি লি। উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ১১ টি প্রশিক্ষণ কোর্সে প্রায় ২৯ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০৮ জন শিক্ষার্থী সফল ভাবে প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করেছেন। অন্যান্য জেলার ছাত্রছাত্রীদের জন্য এখনো নিবন্ধন কার্যক্রম চালু আছে। জাভা ল্যাংগুয়েজ জানা শিক্ষার্থীরা এই ওয়েব সাইটে প্রবেশ করে নিবন্ধন ও স্কিল টেস্ট প্রদানের মাধ্যমে নির্বাচিত হলে প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
পুরো প্রকল্পে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে এমসিসি লি. ও ইএটিএলের সাথে কাজ করছে বেসিস, মাইক্রোসফট, গ্রামীণফোন, রবি, নোকিয়া, সিম্ফনি, এসওএল কোয়েস্ট ও গুগল ডেভলাপার গ্রুপ ঢাকা।