জাতীয় পর্যায়ে মোবাইল এ্যাপ্লিকেশন উন্নয়নে সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি কর্মসূচীর আওতায় আজ থেকে শুরু হলো ৬৪ জেলায় মোবাইল এ্যাপ্লিকেশন উন্নয়ন কার্যক্রম। এই কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আজ সকাল ৯ টা থেকে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে শুরু হয়েছে পাঁচদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কোর্স। ঢাকা জেলায় অবস্থিত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার মাধ্যমে, প্রায় ৪০ জন এই কোর্সের প্রশিক্ষনার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। পাঁচ দিনে ছাত্র ছাত্রীদেরকে জাভা ও এন্ড্রয়েড এ্যাপ্লিকেশনে উপর বিস্তারিত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। এছাড়া ব্যবহারিক ক্লাসের মাধ্যমে কর্মশালার শেষ দিকে প্রশিক্ষণার্থীরা এ্যাপ্লিকেশনও তৈরী করবেন। কর্মশালা শেষে সফল প্রশিক্ষনার্থীকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে, যা তারা ভবিষ্যৎ কর্মক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া দুইজন সেরা প্রশিক্ষণার্থী পাবেন নোকিয়া ও সিম্ফনির গিফট। এই সকল প্রশিক্ষনার্থী জাতীয় পর্যায়ের এ্যাপ্লিকেশন নির্মাণ প্রতিযোগিতায়ও অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৬.৮৩৫ বিলিয়ন মোবাইল সিম ব্যবহারকারী থাকায় একথা এখন র্নিদ্বিধায় বলা যায় যে, বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও অপরিহার্য যোগাযোগ মাধ্যম হচ্ছে ‘মোবাইল ফোন’। আর এবছরই এপ্রিল মাসের পরিসংখ্যান মতে মোবাইল নিবন্ধনকারীর সংখ্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বাদশ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশে মোট মোবাইল নিবন্ধনকারীর সংখ্যা ১০১.২০৫ মিলিয়ন এবং মোবাইল পেনিট্রেশন ৬৬.৩৬% যা প্রতিবছর ১০% হারে বাড়ছে। একই সাথে মোবাইল ফোনকে যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করার পাশাপাশি এর বিভিন্ন এপ্লিকেশনের ব্যবহারও পৃথিবীব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ২০১২ সালের পরিসংখ্যান বলছে, সারা বিশ্বে মোট ১.২ বিলিয়ন মানুষ মোবাইল এ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করেছেন এবং প্রতিবছর তা ২৯.৮% হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ক্রমবর্ধমান মোবাইলীয় পৃথিবীর সাথে তাল মেলাতে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে মোবাইল এ্যাপ্লিকেশনের আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সম্পৃক্ত করার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। যার ফলে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে কর্মসংস্থানের সুযোগ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিশ্বমানের আইসিটি পেশাজীবি তৈরি হবে। সেই লক্ষ্যে ঢাকা জেলা থেকে শুরু হওয়া প্রশিক্ষণের এই সুযোগ একে একে ৬৪ জেলায় অবস্থিত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী অথবা ফ্রি ল্যান্সাররাও পাবেন।
আজ সকাল ৯ টা থেকে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে শুরু হলো এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। প্রথম দিনের প্রশিক্ষণের শুরুতে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব নজরুল ইসলাম খান, একই মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি ও প্রকল্প পরিচালক জনাব ড.মোহাম্মদ আবুল হাসান, ইন্টারন্যাশনাল ইউনাইটেড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক এম. রেজওয়ান খান, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসসি প্রধান ড. হাসান সারওয়ান, এসওল কোয়েস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রানা আবুল বাশার, এমসিসি লি. এর প্রধান নির্বাহী আশ্রাফ আবির। এরা প্রত্যেকেই বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সহকারি সচিব আরএইচএম আলাওল কবির, মিয়া মোহাম্মাদ কিয়ামউদ্দিন প্রমুখ।
একটি সমৃদ্ধ সফটওয়্যার শিল্প গড়ে উঠলে তা অভ্যন্তরীণ ও বিশ্ববাজারের চাহিদা মেটাতে, বৈদেশিক বাণিজ্য হতে আয় বাড়াতে, বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে এবং আমদানী নির্ভরশীলতা কমাতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। এই কর্মসূচি সে ধরনের সফটওয়্যার শিল্প পরিবেশ (ইকো সিস্টেম) বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে যাতে একদিকে যেমন তথ্য প্রযুক্তি ভিত্তিক জনসেবা প্রদান নিশ্চিত হবে তেমন ডিজিটাল ডিভাইড দূরীকরণে আইসিটি খাতের উন্নয়ন কেবল রাজধানী ঢাকায় নয় বরং রাজধানীর বাইরেও বিকেন্দ্রীকরণ নিশ্চিত করা যাবে। এই কর্মসূচীর আওতায় বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারি খাতে মোবাইল এ্যাপস এর প্রয়োজনীয়তা ও চাহিদা যাচাই বাছাই পূর্বক যুগোপযোগী এ্যাপস আইডিয়া প্রস্তুত, সংগ্রহ ও সংরক্ষণ, ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সেই সকল আইডিয়ার সংকলন প্রকাশ করা, প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয়ের জন্য অন্তত একটি করে কার্যকর মোবাইল এ্যাপস নির্মাণ, ৭টি বিভাগীয় পর্যায়ে সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে বুট ক্যাম্প, দেশের ৬৪ জেলার ছাত্রছাত্রীদের ডিজিটাল কনটেন্ট সম্পর্কে ধারণা প্রদানের পাশাপাশি তাদেরকে এ্যাপস নির্মানের প্রশিক্ষণ প্রদান, সংগ্রহিত আইডিয়া থেকে এ্যাপস নির্মাণের ব্যবস্থা, এক একটি সরকারি অফিসের জন্য একটি করে কার্যকরী মোবাইল এ্যাপস প্রস্তুত, জাতীয় পর্যায়ে এ্যাপস নির্মাণের প্রতিযোগিতা আয়োজনের পাশাপাশি এই সকল কনটেন্টের মাধ্যমে একটি রিসোর্স পোর্টাল প্রস্তুত ও সর্বসাধারণের জন্য তা উন্মুক্ত করাই এই কর্মসূচীর প্রকৃত উদ্দেশ্য।
পুরো প্রকল্পে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সহযোগি প্রতিষ্ঠান হিসেবে এমসিসি লি ও ইএটিএলের সাথে কাজ করছেন বেসিস, মাইক্রোসফট, গ্রামীণফোন, রবি, নোকিয়া, সিম্ফনি, এসওএল কোয়েস্ট, গুগল ডেভলপার গ্রুপ ।
পত্রিকায় দেখুন :
ডেউলি সান : Govt mulls 2,000 mobile apps developers
দ্য নিউজ টু ডে : National level mobile applications dev prog launched
দ্য নিউ এইজ : Mobile apps development programme launched
দৈনিক সংবাদ : শুরু হলো ৬৪ জেলায় মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন উন্নয়ন বিষয়ক কর্মশালা
Thank you for manage the program.This is a great chance to prove our skilled.
খুব খুশি আমি নিজের যোগ্যতা আর দক্ষতা গড়ে তোলার এটাই সূবর্ণ সূযোগ। ধন্যবাদ যথাযথ কর্তৃপক্ষকে।
বিষয়টি যোগউপযোগী ও যথা যথ হওয়াএ আমি এতে বিষম আগ্রহি , সফলতার চেস্টা করে যাব , আল্লাহ যেন সাফল্ল্য দেন